মুক্তিযোদ্ধা

নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধা আকবর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
নড়াইল লোহাগড়ার সাবেক সেনাসদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (০৭ এপ্রিল) র্যাব-৬ যশোর শহরের বকচর বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার রুস্তম মোল্লার ছেলে জাকারিয়া মোল্যা, মাফুজার মোল্যার ছেলে সাদ্দাম।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ৩১ মার্চ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া পশ্চিমাপাড়ার বাসিন্দা সাবেক সেনাসদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধ আকবর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নড়াইলের লোহাগড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, হত্যার ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্প ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৬ এপ্রিল দিবাগত ভোররাতে যশোর শহরের বকচর বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামি জাকারিয়া মোল্লা ও সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এআই
জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় আওয়ামীপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া ভুয়া স্লোগান
পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় অনুষ্ঠানে চরম হট্টগোল দেখা দেয়।
পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে পাবনা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকারের বক্তব্যের সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন এডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শুরুতেই তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলেন।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করেন এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বক্তব্য শেষ না করেই চলে আসেন মাসুদ খন্দকার। এসময় অনুষ্ঠানে চরম হট্টগোল দেখা দেয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় পতিত সরকারের কিছু দোসর ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছিল। ঢুকে তারা প্রোগ্রামটা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছিল। পরে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায় এবং প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে শেষ হয়।
বিতর্কের বিষয়ে মুখ না খুললেও পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে ক্লিয়ার ভাবে বলতে পারছি না। তবে বিএনপির কোনো একজন নেতা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এসময় তার বক্তব্যের একটা অংশে কয়েকজন লোক তাকে বলেন যে আপনি এই বক্তব্য দিতে পারেন না। পরে অনুষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে শেষ হয়েছে।
এমআর

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আজিবর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান
নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আজিবর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ সম্বর্ধনা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আজিবুর রহমানকে বরণ করে নেন।
একই সাথে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল দশটায় নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের আয়োজনে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৫ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপর্না নাগ এর সভাপতিত্বে মো. শাহিন আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বজিৎ কুমার ভৌমিক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আকবর আহম্মদ, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পীযূষ কুমার দাস, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, গনিত বিভাগের সরকারি অধ্যাপক অশোক কুমার মজুমদার, ইসলাম শিক্ষার প্রভাষক মাহমুদুর রহমান, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মন্নু বিশ্বাস, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সবুজ কুমার হালদার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সন্ধ্যা রানী কুন্ডু।
এ সময়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবসের নানান দিক ও ভয়াল কালো রাত সম্পর্কে আলোচনা করেন।
সম্বর্ধিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আজিবর রহমান ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ও রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে নড়াইল মুক্ত করার বাস্তব অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আজীবুর রহমান শুধু দেশের জন্য যুদ্ধ করেননি। দেশের জনগণের সেবার জন্য বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে ১১ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। কখনোই দুর্নীতি ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। সেজন্য চেয়ারম্যান হিসেবে বিদেশ সফর করেন। এছাড়া তিনি নন্দিত ফুটবলার ছিলেন জাতীয় দলেও চান্স পেয়েছিলেন। দশ বছর আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। সবশেষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এআই

বান্দরবানে ঋণের চাপে গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের আত্মহত্যা
পার্বত্য বান্দরবানের লামায় একটি বেসরকারি সংস্থার ঋণের টাকার চাপে মুক্তিযুদ্ধার সন্তান আমজাদ হোসেন (২৮) নামের এক যুবক ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম লাইনঝিরি এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমজাদ ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত রজ্জব আলীর ছেলে।
নিহতের বড় ভাই আজগর আলী বলেন, সোমবার সকালে আমরা কাজে যাওয়ার সময় ছোট ভাইকে ডাকাডাকি করি। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে গ্রামের কয়েকজন মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে যাই। সেখানে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শক্তি ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও’র ম্যানেজার তাদের ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য আমার ভাইকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। গতকালও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার কথা ছিল। এছাড়া আমার ভাইয়ের সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল না।
লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই

তাজউদ্দীনের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের সিদ্ধান্ত, সোহেল তাজের ক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদসহ সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি থাকছে না। তাদের পরিচয় হতে যাচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
রোববার (২৩ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, বিদ্যমান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধনের চূড়ান্ত খসড়ায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে। জামুকার ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত রেজুলেশনে (খসড়াসহ অন্যান্য বিষয়) স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে সোহেল তাজ পোস্টে তিনি লিখেন, জিয়াউর রহমানের মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর উত্তম খেতাব বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যাহার করেছিল। সেটিও শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। সুতরাং ইতিহাসে যার যা অবস্থান, সেটি নির্ধারিত। নতুন ইতিহাস ও সংজ্ঞা নির্ধারণের নেপথ্যে যদি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকে, সেটি জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। কেননা, এখন যা করার চেষ্টা শুরু হয়েছে, তা বিগত সব উদাহরণ ছাপিয়ে যেতে চলেছে।
তিনি লিখেন, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম দেখে হয়তো আপনারও চোখ ছানাবড়া হয়েছে। গত ২১ মার্চ ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার’ এই খবরের অর্থ কি এই যে, বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের মতো নেতারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না? তাদেরকে ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ বলার মধ্য দিয়ে কি তাদের সম্মান বাড়ানো হচ্ছে নাকি অসম্মানিত করা হচ্ছে? দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর পরে এই অসম্মান কি তাদের প্রাপ্য? এর মধ্য দিয়ে কি জাতি হিসেবে আমরা নিজেদেরকে খুব মহিমান্বিত করছি? যারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের ইনটেনশন বা উদ্দেশ্য কী? মুক্তিযুদ্ধের নতুন বয়ান ও নতুন ইতিহাস তৈরি করা?
সোহেল তাজ আরও লিখেন, অন্তর্বর্তী সরকার, যারা একটি বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অর্থনীতি সচল রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই যাদের প্রধান কাজ; তারা ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত এমন একটি বিষয় নিয়ে কেন বিতর্ক উসকে দিচ্ছে?
১৯৭১ সালের ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধটি পরিচালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে এবং তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে। এমনকি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যেদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, তখন বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকলেও তার পরদিন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে এই বিজয়ের খবরের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ছবিই ছাপা হয়েছে। সুতরাং যার নামে এবং যাদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হলো, তারা মুক্তিযোদ্ধা নন বরং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা- এমন একটি বিপজ্জনক ধারণা যার বা যাদের মাথা থেকে এলো, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি অনুচিত?
মুক্তিযোদ্ধা মানেই যে তাকে অস্ত্র নিয়ে শত্রুর দিকে গুলি ছুড়তে হবে তা নয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে সকলেই মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন। কেউ রণাঙ্গণে ছিলেন। কেউ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। এখানে কে অস্ত্র হাতে গুলি করেছেন আর কে গুলি করেননি- সেই বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়নের অর্থই হলো ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে অহেতুক বিতর্কের জন্ম দেয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করা। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি গত পাঁচ দশক ধরে যে ধরনের বয়ান দেওয়ার চেষ্টা করেছে- সেই বয়ানকে প্রতিষ্ঠিত করা।
এমআর-২

বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদুর রহমান শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। প্রতারক হামিদুর রহমানের বিচার দাবি করেছেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান ২০১৯ সালে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রত্যেকের কাছে থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার করে টাকা নেন। পরে তাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র ও সনদপত্রও দেন তিনি।
ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এমন স্লোগান সংবলিত ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর ব্যানারে একটি করে ভুয়া সার্টিফিকেট দেন প্রতারক হামিদুর রহমান। কিন্তু এসব সনদ যাচাই করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, এগুলো আসলে ভুয়া। এরপর তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে হামিদুর রহমান নানা ভাবে টালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ভুক্তভোগীদের মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখান। এই ঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হলেও কোন শালিস বৈঠক হলেও টাকা ফেরত দেননি হামিদুর। গত এক সপ্তাহ আগে নাশকতা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। হামিদুর রহমান নাশকতা মামলায় বর্তমানে জামালপুর জেল হাজতে রয়েছেন। এছাড়াও হামিদুরের বিরুদ্ধে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করারও অভিযোগ রয়েছে। গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে হামিদুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার শিকার ইসমাইল হোসেন,হাসমত আলী,খলিলুর রহমান,জমিলা বেগম ও আবেদন বেগমসহ অনেকের অভিযোগ করেন।
প্রতারণার শিকার হাছেন আলী বলেন, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেয়। তিনি বলেছিল সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হলে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে সরকারি ভাতা পাবেন। কিন্তু কোনো সুবিধা পাচ্ছিই না। এখন বুঝতে পারছি সে প্রতারণা করছে। যে সার্টিফিকেট দিয়েছে সেটা ভুয়া। তাই হামিদুরের প্রতারণার বিচার চাই।
প্রতারণার শিকার মো. আবদুস সামাদ বলেন, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মাসে মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। আমি ছাগল বেচেঁ তাকে টাকা দেই। পরে জানতে পারি সে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন সে টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। আমরা তার শাস্তি চাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামিদুর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তার বেয়াই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকার কারনে তিনি দাপট দেখিয়ে চলতেন। অন্যের জমি দখল ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রায় ২ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই হামিদুর। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়েও মানুষের সাথে প্রতারনা করেছেন তিনি। তাকে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানান তারা। হামিদুর রহমান কারাগারে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী বলেন, একটা প্রতারক চক্র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসলে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। যারা প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান,এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসআর

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা বেলাল গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেনকে (৬০) নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সদরঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে সময়ের কণ্ঠস্বরকে নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আন্দোলনের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে, যেখানে বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন।
সদরঘাট থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলাল হোসেনকে আজ রোববার দুপুরে (১৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাঠানো হবে। মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
বেলাল হোসেনের গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দুঃখজনক।
তবে, অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা মনে করেন, যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত, সে যেই হোক না কেন।
এআই

মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা
মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ।
সকালে একে একে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে জড়ো হন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে অনুষ্ঠানে নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্নস্থরের মানুষকে আহবান জানানো হয়। পরে মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানের সৌজন্যে উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল আমিন বাবু চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ-এর প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন, নুর জাহান সেলিম নিরাময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. গোলাম সরোয়ারসহ অনেকেই।
এআই

সখীপুরে মিছিলে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার মুক্তিযোদ্ধা, এজাহারে বয়স ৩২
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে করা একটি মামলায় আইয়ুব খান নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নলুয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলার এজাহারে আইয়ুব খানের বয়স লেখা হয়েছে ৩২ বছর, প্রকৃত অর্থে তাঁর বয়স ৭২ বছর।
আইয়ুব খান উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। মামলার এজাহারে ১৩৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে। তবে সেখানে নামের আগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাথ লেখা না থাকলেও বয়সের ঘরে ৩২ ও বাবার নাম অজ্ঞাতনামা লেখা রয়েছে।
একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ওই মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৩ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সৌখিন মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সখীপুর পৌর শহরের তালতলা চত্বরে যায়। সেখানে আসামিরা আগে থেকেই পিস্তল, রাইফেল, শটগান, চায়নিজ কুড়াল, রামদা, শাবল নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। পরে মিছিলটি সেখানে পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনার পর গত ২৬ আগস্ট রাতে সখীপুর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোরশেদুল হক বাদী হয়ে সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহানসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে ৩ আগস্ট পৌর শহরের তালতলা চত্বর ও উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের এক ভাতিজা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে করা মামলায় ১৩৫ নম্বর আসামি আমার চাচা নন। কারণ, আমার চাচার বয়স ৩২ নয়, ৭২। ঘটনার দিন তিনি সখীপুরেই আসেননি। এ ছাড়া পিতার নামও অজ্ঞাত লেখা রয়েছে। শুধু নামের মিল দেখে কাউকে গ্রেপ্তার করা ঠিক নয়।থ
কিন্তু ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে আইয়ুব খান নামের আর কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, আসামি আইয়ুব খান আওয়ামী লীগের যাদবপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি। তদন্তে তাঁকেই পাওয়া গেছে। এজাহারে ভুলবশত আসামির বয়স ৭২–এর স্থলে ৩২ লেখা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে দুই আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এআই

কুমিল্লার ঘটনায় বিচারে দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু নিরাপত্তাহীনতার কারণে এলাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল বিকেলেই তিনি কুমিল্লা থেকে ফেনীতে চলে যান। ভিডিও ভাইরাল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে সমালোচনা ঝড় চলছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সোমবার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিকেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে আজ সোমবার দুপুরে ১ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সংসদ চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তাকারীদের ১২ ঘন্টায় গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। নয়তো মুক্তিযোদ্ধারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সারা বাংলাদেশ অচল করে দিবে বলে ঘোষণা দেন।
হেনস্তার শিকার হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, তিনি এখন ফেনীতে তার ছেলের সঙ্গে অবস্থান করছেন। মারধর করায় সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে চৌদ্দগ্রামে বাড়িতে ফিরে আসবেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আব্দুল হাই বলেন, গতকাল দুপুরে তিনি ওষুধ কিনতে বাড়ির কাছের বাজারে গিয়েছিলেন। এ সময় স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে ধরে জুতার মালা পরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে তাকে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে, আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার এই ঘটনার ভিডিও গতরাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
আজ সকালে আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী রেহানা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, গতকালের ঘটনায় আত্মসম্মানে আঘাত পেয়েছেন তার স্বামী। এ কারণে ঘটনার পর পরই তিনি এলাকা ছেড়ে ফেনী চলে যান। মূলত জামায়াত নেতা হোসেন মজুমদার নেতৃত্বে নিযার্তন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দফায় তাদের বাড়িতে হামলা হয়। হামলাকারীরা তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ করার কারণেই তাদের বাড়িতে হামলা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ দেখে এরই মধ্যে ৭/৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম। তবে ঘটনার পর থেকে জড়িতদের কেউই এলাকায় নেই।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল আহমেদ বাবুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কানু আওয়ামী লীগ করেও বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। কারাগারে গেছেন। তার ভুলক্রটি থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ ছিল।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু এভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানানো ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা সরকারকে বলবো ১২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। না হয় সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামবেন।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ বলেন, আমরা ওনার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি যখন মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবর জানতে পেরেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর সাথেও কথা হয়েছে উনি ফেনীতে আছেন। উনার সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত। উনাকে আইনিভাবে সহায়তা করার জন্য যে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পিএম

নাটোরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে চাঁদা দাবি, ভুয়া সাংবাদিক গ্রেফতার
নাটোরে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লেংগুড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত আরও ৪ ভুয়া সাংবাদিক নাছিমুর ইসলাম নাসিম, তানিয়া খাতুন, হাসান আলী সোহেল, আবুল বাশারের নামে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার চাঁদপুর ও লেংগুড়িয়া এলাকায় দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করে চক্রটি। পরে তাদের টাকা না দিলে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ভয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।
রবিবার লেংগুড়িয়া এলাকায় সেই টাকা আনতে গেলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী ওই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ গ্রেফতার করে। এসময় এশিয়ান টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।
ভুক্তভোগী আকলিমা খাতুন বলেন, আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া বলে জানান তারা। এখন ৫০ হাজার টাকা দিলে রিপোর্ট বন্ধ করবেন বলে চাঁদা দাবি করে। এতো টাকা কীভাবে দেব, পরে আমার ছাগল বিক্রি করে ৯ হাজার টাকা দেব বলে জানাই। সেই টাকা নিতে এসেছিল। আমি এদের শাস্তির দাবি জানাই।
নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরও চার ভুয়া সাংবাদিকে আসামি করা হয়েছে। বাকী জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এআই

কাফরুলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
রাজধানীর কাফরুলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কাফরুল থানাধীন ১৫ নম্বর সেকশনের বিজয় রাকিন সিটির ডি ব্লকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি এ,টি আহমেদুল হক চৌধুরী
এসময় সভায় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের কার্যবিবরণী, সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদন, অর্থ সম্পাদক কর্তৃক প্রেশকৃত ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের আয় ব্যয়, নিরীক্ষা হিসাব উপস্থিত সমিতির সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
সমিতির গঠনতন্ত্রের উপ-বিধির ৮(ঘ) ধারা অনুযায়ী ২০২৫- ২৬ মেয়াদের জন্য ১৫ পনেরো সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হয়। সমিতির নবগঠিত কার্যকরী পরিষদ (২০২৫-২০২৬) এর নেতৃবৃন্দরা হলেন সভাপতি, এ.টি আহমেদুল হক চৌধুরী, সহ-সভাপতি (১) শাহজাহান মিয়া, সহ- সভাপতি (২) মাহবুব আলম খান, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এ,টি,এম খালেদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক (১) মোহাম্মদ আজহারুল হক, অর্থ সম্পাদক (০২) রায়হান উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক মফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ মহিলা ও বিষয়ক সম্পাদিকা বেগম নাজমা আরেফিন, ক্রিড়া, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনছার আলী খান, সদস্য (১) মো: আশিকুল হক চৌধুরী, সদস্য (২) আব্দুল হাই, সদস্য (৩) অধ্যাপক ড,আরিফুর রহমান।
আপনার অনুসন্ধানকৃত ডাটা খোঁজে পাওয়া যায়নি
